নির্বাচনী খরচে অনুদান ও রাজনৈতিক সংস্কারে আলোচনায় কানাডা জামায়াত
প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২৫, ৯:৩২:২০
ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক, রাজনৈতিক সংস্কার ও সম্ভাব্য নির্বাচন ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি জানান, “সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে নির্বাচনী আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে একটি বড় বাজেট প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা কানাডাসহ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক সহায়তা আহ্বান জানিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, কানাডার হাইকমিশনার বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
রাজনৈতিক সংস্কারেও আলোকপাত
বৈঠকে হাইকমিশনার অজিত সিং জামায়াতের নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চান, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তাদের সংলাপ কতদূর অগ্রসর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেছে তারা।
তাহের বলেন,
“যদিও কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে এখনো মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।”
গণভোটের প্রস্তাব
তিনি আরও বলেন, “যদি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো না যায়, তাহলে আমরা গণভোট অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছি অন্তর্বর্তী সরকারকে।” এছাড়াও, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং “কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট আচরণ করতে না পারে” সে বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সাবেক সংসদ সদস্য তাহের।
বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের ও পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ।
পাঠকের জন্য নোট
এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। একদিকে নির্বাচনী সহায়তা চাওয়া, অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোটের বার্তা সব মিলিয়ে বৈঠকটি ভবিষ্যৎ নির্বাচনী পরিবেশ ও কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকনির্দেশক হিসেবে ধরা হচ্ছে।