চামড়া সংরক্ষণে ব্যর্থ ২০ কোটি টাকার গছানো লবণ

চামড়া সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ২০ কোটি টাকার ‘গছানো’ লবণ কার্যকর না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদুল আজহার পর কোরবানির চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই লবণ সরবরাহ করা হলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, এ বছর লবণের মজুদ নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২০ কোটি টাকার লবণ সংরক্ষণ করা হয়, যাতে কোরবানির মৌসুমে চামড়া নষ্ট না হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে দেখা যায়, গছানো অর্থাৎ বড় দানা ও অতিরিক্ত আর্দ্রতা যুক্ত এই লবণ দ্রুত চামড়ায় প্রয়োগ করলেও তা কাঙ্ক্ষিতভাবে কাজ করেনি। ফলে অনেক চামড়ার গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গছানো লবণ অধিক আর্দ্রতার কারণে দ্রুত চামড়ায় লবণাক্ততা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়। এতে করে চামড়ায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে এবং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এদিকে চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে মানসম্মত লবণের ঘাটতি এবং দামের উচ্চগতির কারণেও অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের লবণ ব্যবহার করতে হয়েছে। ফলে চামড়া শিল্পে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সরকারি পর্যায় থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের বিপুল অর্থের লবণ মজুদের পরও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।