ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গড় আয় ৪০০ কোটি, কিস্তি ৭৪০ কোটি ভবিষ্যতে ব্যয় আরও বাড়বে
প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২:১৪:৪৪
ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনে প্রতিদিন গড়ে চার লাখ যাত্রী চলাচল করলেও আয় দিয়ে ঋণ শোধে সংকট রয়েছে। ডিএমটিসিএল জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রভিশনাল আয় ৪০০ কোটি টাকা, অথচ ২০৩০-৩১ সাল পর্যন্ত বছরে ৪৬৫ থেকে ৭৪০ কোটি টাকা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
জাপানের জাইকার কাছ থেকে নেওয়া ১৯,৭১৮ কোটি টাকার ঋণের কিস্তি গত বছর সীমিত আকারে শুরু হলেও আগামী বছর থেকে পুরো কিস্তি দিতে হবে। এখন পর্যন্ত ৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি মেট্রোরেলের যাত্রী ভাড়া আশপাশের দেশের তুলনায় বেশি হওয়ায় ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ কম। ফলে আয় বাড়াতে ট্রেন সংখ্যা ও চলাচলের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি স্টেশনের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে হবে।
বুয়েটের অধ্যাপক সামছুল হক বলেন,
অযৌক্তিক ব্যয় কমিয়ে স্থাপনা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করলে আয় বাড়তে পারে। নতুন প্রকল্পে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেলের আয়ে ঋণ শোধ সম্ভব নয়। বড় অংশ সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। এ কারণে নতুন মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে ব্যয় বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
কমলাপুর-বিমানবন্দর ও সাভার-ভাটারা রুটে নতুন মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পে অধিকাংশ অর্থ ঋণ হিসেবে আসবে।
এখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ চললেও ২০২৫ সাল থেকে ডিএমটিসিএল নিজেই ব্যয় বহন করবে। বেতন-ভাতা ও বিদ্যুৎ ব্যয় আগেই ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয় দ্বিগুণ হবে।