‘জিগরা’ দিয়ে বাজিমাত! অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক আলিয়া ভাট

সাহসী গল্প বলেই বাজিমাত: এটি এমন এক বোনের গল্প, যে তার ছোট ভাইকে রক্ষা করতে সমাজ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে একক যুদ্ধ শুরু করে। ছবিটির গল্পের প্রেক্ষাপট নারীর সাহসিকতা, পারিবারিক বন্ধন এবং সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Film Companion, Hindustan Times, The Indian Express সহ একাধিক সমালোচক একে বছরের অন্যতম সেরা সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক ছবি বলে আখ্যায়িত করেছে।

নারীকেন্দ্রিক বলিউডের নতুন অধ্যায়: ‘জিগরা’ আলিয়ার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান Eternal Sunshine Productions-এর ব্যানারে নির্মিত। এর সহ-প্রযোজক ছিল Dharma Productions, যেটি করন জোহর পরিচালিত সংস্থা। এর আগে আলিয়া প্রযোজক হিসেবে অভিষেক করেন ২০২২ সালের "Darlings" সিনেমায়, যেখানে তিনি সহ-প্রযোজক ছিলেন। কিন্তু ‘জিগরা’-তেই তিনি এককভাবে প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং তার নিজস্ব নির্মাণ দর্শনের পরিচয় দেন যেখানে নারীর অভিজ্ঞতা, সাহস এবং আত্মশক্তিকে কেন্দ্র করে গল্প বলা হয়। আলিয়ার বক্তব্য:

“আমি চেয়েছিলাম এমন গল্প বলার যা সাহস দেখায়, ভয় নয়। ‘জিগরা’ আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”

বক্স অফিস ও ডিজিটাল পারফরম্যান্স

1. মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ‘জিগরা’ ভারতীয় বক্স অফিসে আয় করে ₹৮২ কোটি রুপি, যা একটি নারীপ্রধান চলচ্চিত্রের জন্য রেকর্ডসৃষ্টিকারী।
2. ওটিটি প্ল্যাটফর্ম Netflix-এ মুক্তির ২ দিনের মধ্যে শীর্ষ ১০-এ উঠে আসে সিনেমাটি।
3. IMDb রেটিং: 7.9/10
4. Rotten Tomatoes: Critics score 85%

সামাজিক মাধ্যমে #JigraOnNetflix, #AliaBhatt এবং #PowerfulCinema ট্রেন্ডে আসে। তরুণদের মধ্যে বিশেষ করে কলেজ-বয়সী নারীদের মধ্যে এই ছবিটি আলোচনার জন্ম দেয়।

স্টারডম পেরিয়ে নেতৃত্বের পথে: আলিয়া ভাট ২০১২ সালে "Student of the Year" দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। এরপর Highway, Raazi, Gully Boy, Gangubai Kathiawadi-র মতো ছবিতে তার অভিনয় দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু 'জিগরা'-তে এসে তিনি শুধু অভিনেত্রী নন, বরং একজন চিন্তাশীল নির্মাতা ও নারী নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। বিশ্লেষকদের মতে, বলিউডের পুরুষতান্ত্রিক প্রোডাকশন স্ট্রাকচারের বাইরে গিয়ে আলিয়ার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং সাহসী গল্প নির্মাণ, তরুণ অভিনেত্রীদের জন্য এক বড় দৃষ্টান্ত। বলিউডে আনুশকা শর্মা, কঙ্গনা রানাউত, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পর আলিয়া নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা চালু করে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়াচ্ছেন। অ্যাকশন বা লাভ স্টোরির বাইরে গিয়ে পারিবারিক, মানবিক গল্প বলার প্রবণতা বাড়ছে।