ঢাকার শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে রোবটিক নার্স চালু।
প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২৫, ৩:০১:৪২
ঢাকার একটি জাহাঙ্গীরনগর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ‘রোবটিক নার্স’ প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে যুক্ত হলো। এক অজ্ঞাত রোগীর চিকিৎসায় রোবটটির তৎপরতা এবং সঠিক ডেটা সংগ্রহে চিকিৎসকরা মুগ্ধ।
আমাদের কাজ অনেক সহজ হচ্ছে, রোগীর অবস্থা ত্রুটিহীনভাবে মাপা ও পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে,জানালেন নার্স ফারহানা পারভীন।
আধুনিক টেকনোলজি ও ডাটা:
বিশ্বব্যাপী রোবটিক নার্স ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রোবটিক নার্স আইসিইউ রোগীদের জরুরি অবস্থা ৩০% দ্রুত শনাক্ত ও সেবা দিতে সক্ষম।
বাংলাদেশে এই প্রযুক্তির অবদান হচ্ছে রোগী তত্ত্বাবধানে ত্রুটি কমানো ও মানবসম্পদের অভাব দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন। রোবটটি অ্যালার্ম সিস্টেম, মেডিকেশন ডোজ পর্যবেক্ষণ ও ফিজিক্যাল সার্ভিস প্রদানে নিখুঁত।
সামাজিক প্রভাব: রোবটিক নার্সের উপস্থিতি স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের চাপ কমিয়ে দিচ্ছে। তবে, এটি কি নার্সদের চাকরি হুমকির মুখে ফেলবে? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
সাম্প্রতিক জরিপে ৭২% জনসাধারণ মনে করেন, প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, মানবিক স্পর্শ কখনোই মিটবে না। আর এজন্য রোবটিক নার্সকে সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করা জরুরি।
আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক হাসপাতাল ইতিমধ্যে রোবটিক নার্সের সফল ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয়ের চমৎকার দৃষ্টান্ত।
রোবটিক নার্স বাংলাদেশে আইসিইউর চেহারা পাল্টে দিতে যাচ্ছে। প্রযুক্তির এ নতুন অধ্যায় শুধু রোগীর সেবা নয়, স্বাস্থ্যকর্মীর কাজের গুণগত মানও বৃদ্ধি করবে।
যদিও প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিক স্পর্শ মেলানো বড় চ্যালেঞ্জ, তবু এটি প্রমাণ করে যে ভবিষ্যতের চিকিৎসা হবে দ্রুত, সঠিক ও সহজলভ্য।
প্রশ্ন থেকে যায়, আমরা কি প্রস্তুত প্রযুক্তির এই নতুন সহচরকে গ্রহণ করতে? কারণ আজকের রোবটিক নার্সের যাত্রা হবে আগামী দিনের উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তি।