প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২৫, ১:৩৩:২৩
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে “নাগরিক সংহতি সমাবেশ”-এ তিনি এমন মন্তব্য করেন।
“যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে” গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে এই সমাবেশ করা হয়।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “পুরো সমাজের মধ্যে আবার একটা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা গড়ে উঠেছিল, সেখানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার সম্পূর্ণভাবে নির্লিপ্ত। কোথাও তাদের কার্যকর উপস্থিতি নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রে হামলা ও নিপীড়নে সরকারি বাহিনীর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা আশাহত। যারা গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে সংগ্রাম করছেন- ছাত্র, নারী বা সাধারণ মানুষ- তাদেরই হামলার শিকার হতে হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধিতার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও গণতন্ত্রবিরোধী।”
সমাবেশে আনু মুহাম্মদ অভিযোগ করেন, “নারী, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, শিক্ষক- যেকোনো স্তরের মানুষ যখন নিজেদের অধিকার আদায়ে মুখ খুলছেন, তখনই তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আর হামলাকারীরা পার পেয়ে যাচ্ছে, কারণ সরকারের ভেতরে তাদের রক্ষাকবচ রয়েছে।”