প্রকাশিত : ০২ জুন ২০২৫, ২:১৮:৫৫
ছাত্রশিবিরের নেতারা এখন ছাত্রলীগের ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। তিনি বলেছেন, “অতীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যে ভাষায় হুমকি দিতেন সে ভাষায় এখন সাদিক কায়েম এবং ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হুমকি দিচ্ছেন।”
রবিবার (১ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মবের স্বীকার হয়ে অসুস্থ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেত্রীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, “শাহবাগে দাঁড়িয়ে ছাত্রশিবির যে বক্তব্য দিয়েছে এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। অতীতে যারা ছাত্রলীগের বড় বড় পদ পদবীতে ছিলেন তারা এখন ছাত্রদলের নামে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন। ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ছাত্রলীগের পদে ছিলেন। তার আগে আমরা দেখেছি সাদিক কায়েম তিনি নিজেও ছাত্রলীগের একাধিক পদে ছিলেন।”
তিনি বলেন, “শিবিরের নেতারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। কারণ, অতীতে তারা এত বেশি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন, এত বেশি ছাত্রলীগ থেকে শিখে এসেছেন যার জন্য খুব আলাদা করে এটিকে নতুনত্ব দিতে হয়নি।”
চট্টগ্রামের কমার্স কলেজে শিবির ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “কমার্স কলেজের ঘটনায় আমরা তদন্ত করেছি। সেখানে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলকে বাধাগ্রস্ত করেছে। যার ফলে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সেখানে একটি কমিটমেন্ট ছিল যে, ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনো ছাত্র সংগঠন কোনো বুথ করবে না বরং ক্যাম্পাসের বাহিরে করবে।”
তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির এই কমিটমেন্ট ব্রেক করে বুথ স্থাপন করে। যার প্রেক্ষিতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তারা প্রোপাগান্ডা করছে যে, ছাত্রদল তাদের ওপর হামলা করেছে। এরকম কোনো ঘটনা আসলে সেখানে ঘটেনি। সেখানে ছাত্রলীগের দুইজন কর্মীর সঙ্গে রাবেয়া তাহসিন মুনের সামান্য একটা কথা কাটাকাটি হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাবেয়া তাহসিন মুনের ব্যক্তিগত নম্বরটি এবং তার ছবিকে এডিট করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাকে সামাজিকভাবে ব্যাপকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।”
যেকোনো সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সতর্ক থাকা উচিত উল্লেখ করে নাছির বলেন, “দু-একটি গণমাধ্যম যাচাই-বাছাই ব্যতীত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছে। এরকম ঘটনা আমরা দেখেছি। যে মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে, সেটি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি পর্যন্ত শেয়ার দিয়েছেন। গণমাধ্যমের শেয়ার দিয়ে তিনি প্রোপাগান্ডা করে একটি মব তৈরি করেছেন।”