কৃষির নতুন যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়া
প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২৫, ৩:২৯:২৬
স্মার্ট কৃষির সংজ্ঞা ও প্রয়োগ
স্মার্ট কৃষি বলতে বোঝায় তথ্যপ্রযুক্তি, সেন্সর, ড্রোন, জিপিএস এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে কৃষিকাজকে আরও দক্ষ, লাভজনক ও টেকসই করার প্রক্রিয়া। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটির গুণগত মান, আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক সময়ে সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতামত "স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, খরা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব," বলেন অধ্যাপক ড. সহিদুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, "উন্নত বীজ ও কৃষিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেশি উৎপাদনশীল এবং জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের চাষ করা সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াবে।"
বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষির অগ্রগতি :বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষির যাত্রা ধীরে হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কিছু খামারে ইতিমধ্যে ড্রোনের মাধ্যমে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আধুনিক গ্রীন হাউস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন বাড়ছে। বিশেষ করে মাছ ও গরুর খামারে সেন্সর প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
সরকারি উদ্যোগ ও প্রকল্প
সরকার স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যেমন:
ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (সিএসএডাব্লিউপি): এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগ করে শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন: এই ভিশনের আওতায় কৃষি খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
স্মার্ট কৃষির প্রসারে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন:
প্রযুক্তির উচ্চ খরচ
গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট ও বিদ্যুতের সীমাবদ্ধতা
প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব
তবে, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা এই পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করবে।