মাত্র ২ মিনিটে হার্ডওয়্যার চেক করুন পিসি ফাস্ট কিনা জানুন!

কেন নিয়মিত হার্ডওয়্যার চেক জরুরি?

আপনার পিসি যতই আধুনিক হোক না কেন, নিয়মিত মনিটরিং ছাড়া এর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখা কঠিন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৬ মাসে অন্তত একবার হার্ডওয়্যার চেক করলে ২৫% পর্যন্ত পারফরম্যান্স উন্নতি করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এতে হার্ডওয়্যারের আয়ুষ্কালও বেড়ে যায় প্রায় ২০%।

মাত্র ২ মিনিটে কীভাবে করবেন হার্ডওয়্যার চেক?

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন পিসি স্লো হচ্ছে?

১️. ল্যাগিং ও ফ্রিজিং: সাধারণ কাজেও যদি হঠাৎ ল্যাগ হয়, বুঝতে হবে হার্ডওয়্যার হয়তো চাপ নিতে পারছে না।

২️. গেমিং পারফরম্যান্স ড্রপ: একই গেম আগে স্মুথ চাললেও এখন ল্যাগ করছে? আপনার GPU বা RAM হয়তো দুর্বল হয়ে পড়েছে।

৩️. ওভারহিটিং ইস্যু: সামান্য কাজেই CPU তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে বুঝতে হবে কুলিং সিস্টেম সমস্যায় আছে।

৪️. বারবার ব্লু-স্ক্রিন (BSOD): Windows যদি হঠাৎ ক্র্যাশ করে, এটি সাধারণত হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্টের লক্ষণ।

৫️.অপ্রয়োজনীয় অটো-স্টার্ট অ্যাপ: বেশ কিছু অ্যাপ আপনার অজান্তেই পিসি অন করার সাথে সাথে চালু হয়, যা RAM ও CPU দখল করে রাখে।

বিশ্বমানের টুলস দিয়ে পরীক্ষা করুন:

• HWMonitor: CPU ও GPU’র টেম্পারেচার থেকে শুরু করে Voltages পর্যন্ত সব দেখা যায়।

• CrystalDiskInfo: হার্ডডিস্কের Health Status সহজেই চেক করা যায়।

• Core Temp: প্রসেসরের প্রতিটি কোরের তাপমাত্রা মনিটর করতে পারে।

• UserBenchmark: আপনার পিসির সম্পূর্ণ পারফরম্যান্স পরীক্ষা করতে পারবেন মাত্র ১ মিনিটে।

ডাটা ও পরিসংখ্যান:

• IDC-এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৭০% কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিয়মিত হার্ডওয়্যার মনিটরিং করেন না।

• মাত্র ১৫% ইউজার প্রতিমাসে একবার হলেও Task Manager-এ হার্ডওয়্যার ইউসেজ চেক করেন।

• ২০২৪ সালে মোট ৪৫ মিলিয়ন ডিভাইস হার্ডওয়্যার ফেইলিওরের কারণে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞের মতামত:

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান বলেন, "নিয়মিত হার্ডওয়্যার চেক করলে শুধু পারফরম্যান্স বাড়ে না, বরং ক্রিটিক্যাল ইস্যু আগে থেকেই ডিটেক্ট করা যায়। একটি ২ মিনিটের মনিটরিং আপনাকে ভবিষ্যতের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।"

আপগ্রেড না করলে কী ক্ষতি হতে পারে?

• ধীরগতি: প্রতিদিনের কাজ স্লো হয়ে যাবে।

• তাপমাত্রা বৃদ্ধি: অতিরিক্ত হিটিংয়ের ফলে প্রসেসর বা GPU ড্যামেজ হতে পারে।

• ডেটা লস: হার্ডডিস্ক বা SSD ক্র্যাশ করলে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হারানোর সম্ভাবনা থাকে।

• সিকিউরিটি ইস্যু: পুরনো হার্ডওয়্যারে অনেক সময় সিকিউরিটি প্যাচ ঠিকমতো কাজ করে না।

মাত্র ২ মিনিটের মনিটরিং আপনার পিসিকে বহুদিন সুস্থ রাখতে পারে। ছোট্ট এই প্র্যাকটিসটি আপনাকে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করবে। একটুখানি সময় বিনিয়োগ করে আপনার ডিভাইসটিকে রাখুন সুস্থ, দ্রুতগামী এবং নিরাপদ।