নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পলকের জোরালো বার্তা, রাজনীতিতে উত্তাপ
প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২৫, ২:৫২:৪৯
জুলাই আন্দোলনের সময় রমজান মিয়া হত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো সংক্রান্ত শুনানিতে আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। বুধবার (২৫ জুন) সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি কোনও অপরাধ করিনি।”সকাল ১০টায় পলককে আদালতে তোলা হলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সালাম জানান এবং জানান, কারাগারে বসে তিনি বই পড়ছেন। শরীরচর্চাও করছেন। কোমরে ব্যথা থাকায় নিয়মিত ব্যায়াম করছেন এবং বেল্ট ব্যবহার করছেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় এক সাংবাদিক জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পলক পুনরায় তার নির্দোষ থাকার দাবি করেন।
আদালতের ভেতরে পরিস্থিতি আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। আইনজীবী জানান, পলক কোমরের ব্যথায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না এবং কারাগারে থেরাপি প্রয়োজন। এজন্য তারা আদালতে উপযুক্ত চিকিৎসার আবেদন করবেন। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক পূর্ণ চিছাম পলককে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। পলকের পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, তার মক্কেল কিছু বলতে চান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী পলকের কথা বলার বিরোধিতা করেন। আদালত তখন প্রথমে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং পরে পলককে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মামলার পটভূমি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন রমজান মিয়া। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে ২০২৫ সালের ২৬ মে হাতিরঝিল থানায় এ ঘটনায় মামলা করা হয়। পলককে ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট প্রথমবার গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর তাকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পলকের আইনজীবীর মন্তব্য
আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বলেন, "আমরা মনে করি, একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রীর যেসব মৌলিক অধিকার থাকা উচিত, তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তার চিকিৎসার অধিকার, কথা বলার অধিকার রক্ষা করা উচিত। আমরা আদালতের কাছে তার চিকিৎসা ও মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার আবেদন করবো।"