হঠাৎ গ্রেফতারে দেশজুড়ে আলোচনা, তদন্ত চলছে নির্দিষ্ট অভিযোগে।
প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২৫, ৪:২৫:৩৮
সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার
নির্বাচনি কারচুপি মামলায় ডিবি পুলিশের অভিযান, গ্রেফতারের তালিকায় আরও নাম সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, “দুপুর ২টার দিকে মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” বর্তমানে তাকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনি কারচুপি মামলার পটভূমি
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘গণতন্ত্রবিরোধী অনিয়ম, কারচুপি ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ’-এর অভিযোগ এনে বিএনপি গত ২২ জুন একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। মামলার নম্বর ১১/২০২৫, স্থান: শেরেবাংলা নগর থানা। মোট ২৪ জনকে আসামি করে দায়েরকৃত এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পাশাপাশি তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।এর আগে গ্রেফতার হন কে এম নূরুল হুদা একই মামলায় সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে তদন্ত ও গ্রেফতার কার্যক্রম চলবে।
মামলার অভিযোগের ধরন
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে “গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট ডাকাতি এবং সাংবিধানিক দায়িত্বের অপব্যবহার” ঘটেছে। এতে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো অপরাধের ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনা ও প্রতিক্রিয়া
মামলাটি ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একদিকে বিএনপি এই মামলা ‘গণতন্ত্র রক্ষার আইনি লড়াই’ বলছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক প্রচেষ্টা।