প্রকাশিত :
০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৭:৫৮
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ফিশিংবোটসহ ভোলার লালমোহন উপজেলার ১৩ জেলে নিখোঁজ হওয়ার ২০ দিনের মাথায় তাদের খোঁজ মিলেছে ভারতে। বঙ্গোপসাগরের ভারতের জলসীমায় অনুপ্রেবেশের অভিযোগে তাদেরকে ফিশিংবোটসহ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। পরবর্তীতে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের একটি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদেরকে আদালতে তুলেছেন।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর ‘সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৩ জেলে নিখোঁজ’ শিরোনামে নাগরিক প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভারতে কারাবন্দী জেলেরা হলেন- ট্রলার মালিক মো. ফারুক (৫৩), মো. জাহাঙ্গীর (৩৮), মো. শামিম (২৩), মো. খোকন (৩৫), মো. সজিব (২২), মো. আলম (৪৬), হেলাল উদ্দিন (৪০), মো. ফারুক (৪২), মাকসুদুর রহমান (৪২), মো. ছাব্বির (২৫), নাছির, আব্দুল মালেক ও মাকসুদ। তাদের সবাই লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিশিংবোট মালিক ফারুকের ছেলে মো.শাহীন বলেন, আমার বাবাসহ আমাদের ফিশিংবোটের ১৩ জেলে গত ২০ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নিখোঁজদের মধ্যে প্রতিবন্ধী জেলে মো. ছাব্বির প্রথমে তার চাচাতো ভাইয়ের মোবাইলে ভিডিও কল দিয়েছেন এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসময় ভিডিও কলে তার সঙ্গে আরও কয়েকজন নিখোঁজ জেলে ছিলেন। পরে বাবার সঙ্গেও কথা বলেছি এবং তারা জানিয়েছেন- পুলিশ তাদেরকে ভারতের একটি আদালতে হাজির করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা নিখোঁজ থাকাকালীন আমরা চরম উৎকন্ঠায় ছিলাম। তারা বেঁচে আছেন জানতে পেরে সব জেলে পরিবারে স্বস্তি ফিরলে নতুনভাবে চিন্তায় পড়েছি। কারণ তারা ভারতে কারাবন্দী। তাদেরকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া তাদেরকে মুক্ত করে দেশে ফেরানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমরা সরকারি সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর দুপুরে লালমোহনের ধলীগৌড়নগর ইউনিয়নের মাস্টার বাজার এলাকার মেঘনা নদী হয়ে ৫ দিনের প্রয়োজনীয় বাজার সদাইসহ ট্রলার মালিক মো. ফারুক মাঝির নেতৃত্বে ১৩ জন জেলেসহ মা-বাবার দোয়া নামের ফিশিংবোটটি বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাটে গিয়ে থামে এবং সেখান থেকে ট্রলারে বরফ নিয়ে ফের বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে তারা রওনা হন। পরের দিন ১১ নভেম্বর থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ ছিলেন তারা।