নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের গোবরচাপা গ্রামে কৃষক অনন্ত চন্দ্র মন্ডলের গোয়ালে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী থেকে অদ্ভুত এক বাছুরের জন্ম হয়েছে।
বাছুরটি দেহে দুইটি মাথায় ৪টি চোখ, দুইটি মুখ, দুইটি জিহ্বা ও ৪টি নাক নিয়ে জন্মেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এধরনের বাছুরকে ডাইপ্রোসোপাস বলা হয়ে থাকে। জন্মের পর এদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫-১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কৃষক অনন্ত চন্দ্র মন্ডল তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে এই অদ্ভুত বাছুর জন্মের খবর জানান। প্রথমে ভয় পেলেও ধীরে ধীরে স্বভাবিক হতে থাকেন তারা । চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে ভীড় জমায় এলাকাবাসী।
অনন্ত চন্দ্র মন্ডল জানান, প্রথমে গোয়াল ঘরে ঢুকে তিনি দেখতে পান গাভীর সাথে বাছুরের পেছনের অংশ অর্ধেক বের হয়ে আটকে আছে। এরপর হাত দিয়ে টেনে বের করে দেখেন, একটি ঘাড়ে দুইটি মাথায় ৪টি চোখ, ২টি মুখ, দুইটি জিহ্বা ও ৪টি নাক রয়েছে।
বাছুরটিকে এখন ফিডারে করে মুখে তুলে খাওয়াতে হচ্ছে। জন্মের পর জেলা ভেটেনারী অফিসে বাছুরটিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন । আর ইউনিয়ন ভেটেনারী অফিসারকে দায়িত্ব দেন বাছুরটির খোঁজ রাখতে।
এদিকে উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারী হাসপাতালের সার্জন ডাঃ গোলাম রাব্বানী বলেন, এমনভাবে জন্ম নেওয়া বাছুরগুলোকে ডাইপ্রোসোপাস বলা হয়ে থাকে । এটি খুবই দুর্লভ ঘটনা, লাখে ১টি হতে পারে। তবে এমন বাছুরের জন্ম এর আগে তিনি দেখেন নি।
তিনি জানান, এ ধরনের বাছুরগুলো সাধারনত ৫-১০ শতাংশ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে । এর চিকিৎসা করাতে গেলে অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রচুর ব্যয়বহুল হয়ে থাকে ।
এমন বাছুরে জন্ম নেওয়ায় অবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। জন্মের পর থেকে বাচ্চাটি তার মা গাভীকে কাছে না পাওয়ায় উভয়ই কষ্ট পাচ্ছে।