প্রকাশিত :
০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৪:৪৮
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ (৯ ডিসেম্বর)। অথচ শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিতে এসে চরম ভোগান্তি ও হতাশার মুখে পড়েছেন প্রার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম জমা দিতে এসে তারা দেখেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ফাঁকা পড়ে আছে। অফিসে নেই কমিশনারদের কেউ।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন হল ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। শেষ দিন হওয়ায় সবার মধ্যেই ছিল বাড়তি উদ্বেগ ও তৎপরতা। তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্য কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার উপস্থিতি না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
প্রার্থীরা জানান, তফসিল অনুযায়ী আজই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সুযোগ। এ অবস্থায় কমিশনের অনুপস্থিতি তাদের নির্বাচনি অংশগ্রহণকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সময় পেরিয়ে গেলে তারা মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে পুরো প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
শহীদ মুক্তার এলাহী হলের ভিপি প্রার্থী মো. নয়ন মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ ফরম জমার শেষ দিন। আমরা সময়মতো এসেছি, কিন্তু অফিস ফাঁকা। নির্বাচন কমিশন না থাকলে আমরা ফরম জমা দেবো কার কাছে?’
এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, পরিকল্পিতভাবে যদি নির্বাচনি প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করা হয়, তবে তারা তা মেনে নেবেন না। একাধিক ছাত্রনেতা জানান, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা প্রহসনে পরিণত করার কোনো চেষ্টা হলে তারা কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন বলে জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এমন অবস্থায় শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের অনুপস্থিতি নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা তৈরি করেছে। এতে করে শিক্ষার্থী সমাজের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রার্থীরা দ্রুত নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে মনোনয়ন জমার সময় বাড়ানো এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।