বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে কখনও দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মহেশালী গ্রামে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রাহাত আরা বেগম জানান, ১৯৮৮ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন প্রথম নির্বাচন করেন, তখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ছিল চরম সংকটে। সেসময় তিনি ঢাকায় পরিবার রেখে, চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে পৌরসভার হাল ধরেন এবং মেয়র নির্বাচনে অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মির্জা ফখরুল কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার (রাহাত আরা) স্বামী ও শ্বশুরের মন্ত্রীত্বকালীন সময়ের ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের প্রমাণ পাননি।
রাহাত আরা বেগম বলেন, তারা বাবা-ছেলেই কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। অথচ কোথাও এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শেষ নির্বাচন হতে পারে। বয়সের কারণে ভবিষ্যতে আর নির্বাচন করার সুযোগ নাও থাকতে পারে। তাই ভোটারদের প্রতি আহ্বান, এবার তাকে জয়ী করে জাতীয় পর্যায়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ বলেছেন, আপনাদের সঙ্গে থাকার কারণে আমার বাবাকে ১১ বার জেলে যেতে হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য ও আপনাদের পাশে থাকার জন্য। আমার বাবা একজন রাজনীতিবিদ, সেজন্য আমাদেরকেও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আপনারা যেমন অত্যাচারিত হয়েছেন আমরাও কম অত্যাচারিত হইনি। তারপরও আমরা সুদিন দেখতে চাই, সুন্দর সময় দেখতে চাই।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।