আপডেট :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:০৯:৫০
একজন সাংবাদিক স্যার সম্বোধন না করে ভাই ডাকায় ক্ষুব্ধ হলেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাজান আলী। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে স্ব পরিবারে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট এলাকায় বেড়াতে যান। সাথে ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী। এ সময় নাগরিক প্রতিদিন ও চ্যানেল২৪-এর প্রতিবেদক রেজাউল করিম লিটন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাজাহান আলীকে ভাই বলে সম্বোধন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হন।
ক্ষোভ প্রকাশ শাজাহান আলী বলেন, 'আপনি তো সাংবাদিক, একজন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ভাই বললেন। সম্মান করতে শেখেন।'
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের কথায় হতবাক হয়ে যান উপস্থিত সবাই। অনেকেই মন্তব্য করেন, সাংবাদিক কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটের অধস্তন কর্মচারী নন, ফলে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করতে বাধ্য নন তিনি।
অনেকে বলেন, জুলাই বিল্পবের পর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে ‘স্যার’ বলতে এ দেশের জনগন বাধ্য নন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলীর কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, 'দর্শনা চেকপোষ্টে ওই সাংবাদিকের সাথে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে প্রিয় ভাই বলে সম্বোধন করেন। তখন আমি তাকে বলি, আপনি একজন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রিয় ভাই বলতে পারেন? আপনি মানুষকে সম্মান করবেন।'
উল্লেখ্য, মো. শাহাজান আলী সম্প্রতি মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদ থেকে বদলি হয়ে চুয়াডাঙ্গায় একই পদে যোগদান করেছেন। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার পাশের জেলা ঝিনাইদহে হরিনাকুন্ডে। চুয়াডাঙ্গায় তার শ্বশুরবাড়ি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধনের নিয়ম বাতিল করে। সেই প্রেক্ষাপটে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার এমন আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংবাদিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পেশাগত মর্যাদা ও প্রশাসনের আচরণগত শালীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।