প্রকাশিত :
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৪৪:১৮
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ওরশ বিরিয়ানি নগরবাসীর কাছে এক জনপ্রিয় খাবার। তবে জনপ্রিয়তার সুযোগে নগরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা অনেক দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন ও নিষিদ্ধ উপকরণ ব্যবহার করে বিরিয়ানি তৈরি ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব বিরিয়ানিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কেওড়া জল, টেস্টিং সল্ট, অননুমোদিত রং ও অতিরিক্ত মসলা। ফলে এসব খাবার খেয়ে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত এ ধরনের খাবার গ্রহণ করার ফলে ফুড পয়জনিং ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বছরখানেক আগে হঠাৎ করেই চট্টগ্রামে ওরশ বিরিয়ানির বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। নগরের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিরিয়ানির দোকান। মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, এক্সেস রোড, বাকলিয়ার এক কিলোমিটার, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন, দুই নম্বর গেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, আগ্রাবাদ, বনানী, হালিশহর, স্টিলমিল, পতেঙ্গা ও অলংকার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় এসব দোকান চালু হয়েছে। প্রতি প্লেট বিরিয়ানি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৮ সেপ্টেম্বর বহদ্দারহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ওরশ বিরিয়ানি ও মেজ্জান নামের দুটি দোকানে নিষিদ্ধ কেওড়া জল ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় উভয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়। পরে হালিশহর ও অলংকার মোড়ে আরও দুটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ওরশ বিরিয়ানির দোকান। এসব দোকানে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। বিরিয়ানি তৈরিতে কেওড়া জল, অননুমোদিত রং ও টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তদারকি সংস্থাগুলোর পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলছে। নিয়মিত অভিযান প্রয়োজন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বহদ্দারহাটের একটি ওরশ বিরিয়ানির দোকানে নিষিদ্ধ কেওড়া জল ও অনঅনুমোদিত রং ব্যবহারের দায়ে আগে জরিমানা করা হয়েছিল। পরে হালিশহর ও অলংকার মোড়ের আরও দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতেও এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।