ফরিদ আহম্মেদ হত্যা ও আব্দুর রাজ্জাক হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযুক্ত
প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:১২:৩৮
জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ফরিদ আহম্মেদ হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে, যাত্রাবাড়ী থানার আব্দুর রাজ্জাক হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের সাবেক উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লা এবং ওই থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান এবং উপ-পরিদর্শক নাহিদ হাসান খান। তারা আদালতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন উপস্থাপন করলে, আদালত তা মঞ্জুর করেন।
পলক ও মনিরুলের মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিছিলে অবস্থান নিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। সে সময় আসামিদের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে, শহিদুল্লা ও আবুল হাসানের মামলার তথ্য অনুযায়ী, একইদিন (৫ আগস্ট) দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় আব্দুর রাজ্জাক গুলিবিদ্ধ হন। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনি গত ২৪ মার্চ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ আগস্ট পুলিশ জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে। এরপর এ বছরের ২১ এপ্রিল ডিবি (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ) কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার করে। এছাড়া, ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে মো. শহিদুল্লাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। আর একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আবুল হাসান।