প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৫:৫০
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছিল। এর মাধ্যমে ৩১৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে আরও পাঁচটি রিক্রুটিং এজেন্সির ২৬ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলার অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ১৮ হাজার ৭৬৭ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছে এসব প্রতিষ্ঠান।
এর আগে, গত ১১ নভেম্বর চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। একই অভিযোগে ৬ নভেম্বর ছয় এজেন্সির ১১ জন এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩ এজেন্সির কর্তা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়।
দুদক জানায়, নতুন অনুমোদিত পাঁচ মামলার মধ্যে জিএমজি ট্রেডিং (প্রা.) লিমিটেডের ২ হাজার ৮৩০ জন কর্মীর কাছ থেকে ৪৭ কোটি ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা।
দ্য জিএমজি ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েট: ৩ হাজার ২৩৯ জন কর্মীর কাছ থেকে ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ ৭ জন আসামি।
কিউকে কুইক এক্সপ্রেস লিমিটেড: ২ হাজার ২৭৫ জন কর্মীর কাছ থেকে ৭১ কোটি ৬০ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে এমডি, চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা।
এম.ই এফ গ্লোবাল বাংলাদেশ: ৪ হাজার ৫৬৬ জন কর্মীর কাছ থেকে ৭৬ কোটি ৪৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে এমডি, চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা।
আরও একটি এম.ই এফ গ্লোবাল বাংলাদেশ মামলা: ৩ হাজার ৮৫৭ জন কর্মীর কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে এমডি, চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা।
২০১৮ সালে অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে নতুন চুক্তি হলে আবার শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন সরকার সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।