প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০৬:৪৬
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের দুই অংশের বিরোধের কারণে দলটির একাংশকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বের করে দেওয়া প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মুফতি আবুল হাসানাত আমিনী। ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজিসহ প্রতিনিধি দলের আপত্তির মুখে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের নির্দেশে তাদের বের হয়ে যেতে হয়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসির সম্মেলন কক্ষে প্রথম পর্বের সংলাপ শুরুর আগে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সংলাপ শুরুর কয়েক মিনিট আগে মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হলরুমে প্রবেশ করেন। সেখানে আগেই উপস্থিত ছিলেন হাসানাত আমিনীর অংশের প্রতিনিধি দল। সাখাওয়াত হোসেন রাজি অন্য অংশকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘তারা বিগত নির্বাচনে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দিয়েছে, তাই তারা থাকলে আমরা সংলাপে অংশ নেবো না।’
এরপর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উভয় পক্ষের আমন্ত্রণপত্র পরীক্ষা করতে চান। রাজির অংশ হার্ডকপি দেখাতে সক্ষম হলেও আমিনীর অনুসারীরা কেবল মোবাইলে থাকা কপি দেখান। সচিব ঘোষণা করেন, ‘হার্ডকপি না থাকলে আপনাদের চলে যেতে হবে।’ একাধিক অনুরোধের পরও এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে আমিনীর অংশকে সম্মেলনকক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে হয়।
বের হয়ে যাওয়া অংশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশন একতরফা সিদ্ধান্তে আমাদের বের করে দিয়েছে। অথচ আমাদের নামে দল নিবন্ধিত এবং আমাদেরই আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল। ব্ল্যাকমেইল করে আমন্ত্রণপত্র অন্য অংশ নিয়েছে।’
সংলাপের শুরুতে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি অনুসরণে সংলাপ ও ভোট প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব এবং দলগুলোও এই আচরণবিধি প্রচারে অংশ নিতে পারে।
সকালে প্রথম পর্বের সংলাপে অংশ নেয় গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।