আপডেট :
০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:০০:০৭
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হঠাৎ করেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে হাসপাতালটির সামনে ব্যারিকেড স্থাপনসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়তি সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই এভারকেয়ার হাসপাতালে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
এতে বলা হয়, সরকার, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১-এর ধারা ২(ক)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এছাড়াও বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে তা গেজেটের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে, এভারকেয়ার হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। প্রধান ফটক ও আশপাশে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চলছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে শুরু হয় তার চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানান—তার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর দ্রুত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অ্যান্টিবায়োটিকসহ জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। এর মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয় সিসিইউতে। খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের বাইরে তার খোঁজ নিতে ভিড় করেন অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি বিদেশি মেডিকেল টিম সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশ চীনের নাগরিক।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন সেখানে থেকে ৬ মে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হতো।