প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৫, ৩:১৫:২৭
জুলকারনাইন সায়েরের সাথে কথা হচ্ছিলো। ইউনুস সাহেবের লন্ডন ট্রিপে ও দেখা করতে চেয়েছিলো। বাংলাদেশ সরকারে যারা আছে তারা দেখা করতে দেয় নি। দেখা বলতে বুঝাচ্ছি ইউনুস সাহেবের অনুষ্ঠানে সাংবাদিক হিসাবে দাওয়াত দেয়া হয় নাই। ওখানে অনেকেই দাওয়াত পেয়েছেন যারা আমার বিচারে ঠিক সাংবাদিক না। কিন্তু সায়েরকে কোনো এক কারণে ডাকা হয় নাই।
সে খুবই অপমানিত হয়েছে। বলছিলো আমাকে। আমার কাছেও খারাপ লেগেছে। হাসিনার ডান হাত ব্যবসায়ী, যে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে শপথ নিয়েছে ৫ই অগাস্টের পর - সে পর্যন্ত ইউনুস সাহেবের জাপান সফরে জায়গা পায়, কিন্তু সায়ের ডাক পায় না সাংবাদিক হিসাবে।
হাসিনার পালানোর পেছনে অনেকেই কাজ করেছিলেন। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোকনা কেন - আপনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না যে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, জিয়া হাসান, কনক সারোয়ার এদের সবার ত্যাগ আছে। বাংলাদেশে এই মানুষগুলোই আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলো। বিশেষ করে তাসনিম খলিল ও জুলকারনাইন সায়েরের কথা আমি বলি কারণ এই দুইজনের কাজ বহির্বিশ্বে জনমত গঠনে বিশেষভাবে কাজে এসেছিলো। এর প্রমাণ আমি নিজেই দেখেছি।
সায়েরকে এই সরকার ইউনুস সাহেবের অনুষ্ঠানে ডাকতে পারে না - এটা শুনে আসলেই খারাপ লাগলো। আমরা কি ঐ লেভেলে নেমে যাবো যে একটা বিহারী আপনাদেরকে বইঙ্গা বলে ডাকবে আর আপনারা মাথা নিচু করে মেনে নেবেন?
হৃদয়টা একটু বড় করেন ভাই।
ফাহাম আব্দুস সালামের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত