প্রকাশিত :
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭:১৫
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননসহ মোট ৫৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক জানায়, নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় এ দুটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিধি অনুযায়ী বিশেষ গভর্নিং কমিটির নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডে কোনো ডিজি বা তার প্রতিনিধি ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক রাখা হয়নি। বিজ্ঞাপনে চাহিত এনটিআরসিএ সনদ ছাড়াই প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। এমনকি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারী প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগেই নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র ইস্যু করা হয়। এসব অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে পূর্বপরিচিত ১৩ জন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায়, স্কুল শাখায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুলের চাকরিবিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ সিনিয়র শিক্ষক পদ পর্যন্ত পদোন্নতি পেতে পারেন। কিন্তু বিধি বহির্ভূতভাবে তাদের প্রভাষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়, যার কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই।
এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ৩১ জন শিক্ষককে অবৈধভাবে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাশেদ খান মেননসহ মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।