নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হয়নি, ব্যয় বাড়ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা
প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১:০০:০৭
ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২৫
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে এখনও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি। শুরুতে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট চালুর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও একাধিকবার সময় বাড়ানোর পরও নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী উৎপাদন শুরু হয়নি। সর্বশেষ জানা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়তে যাচ্ছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মূলত টেস্ট রান, নিরাপত্তা যাচাই, যন্ত্রাংশ স্থাপন ও রাশিয়ান প্রকৌশলীদের নির্ধারিত অংশ শেষ না হওয়ায় দফায় দফায় উৎপাদনের তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে।
প্রকল্পটির প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে জাতীয় গ্রিডে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ হতে পারে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও পিছিয়ে ২০২৬ সালের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রূপপুর প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের আনুষঙ্গিক খরচ ও সুদসহ ব্যয় আরও বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিলম্ব শুধু ব্যয়ই বাড়াচ্ছে না, বরং দেশের শক্তি নিরাপত্তার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান,
প্রকল্পের টেকনিক্যাল সেফটি ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে কিছু অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে। তাই ধৈর্য ধরে, নিরাপদভাবে এগোনোই যুক্তিযুক্ত।
এদিকে, জাতীয় গ্রিডে নির্ধারিত সময়মতো বিদ্যুৎ না আসায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা। অনেকে বলছেন, প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও তদারকির ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা ও দক্ষতার প্রয়োজন ছিল।