এক সময় ধারণাই করা হচ্ছিল, উসমান খাজার ক্যারিয়ার বুঝি শেষের পথে। চোট থেকে ফেরার পর ছন্দহীনতা আর ধারাবাহিকতার অভাবে ক্যারিয়ার শেষের দ্বারপ্রান্তেি ছিলেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সে এসে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে যেন হঠাৎ করেই বদলে গেল দৃশ্যপট। স্টিভ স্মিথের ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে নিজের ওপর ভরসার জবাবটা ঠিকই দিলেন খাজা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। চার নম্বরে নেমে খাজা খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস। ব্যক্তিগত ৮২ রানে জ্যাকসের বলে আউট হলেও তার ব্যাটে ভর করেই প্রথম দিনের শুরুতে ভরসা পায় স্বাগতিকরা।
এদিকে বুধবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে, স্টিভ স্মিথ ভার্টিগো ধরনের উপসর্গে ভুগছেন। মাথা ঘোরা ও ভারসাম্য হারানোর এই সমস্যায় তিনি আগেও আক্রান্ত হয়েছেন। নেটে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় কোচ ও প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠ ছাড়েন স্মিথ।
স্মিথের অনুপস্থিতিতেই একাদশে জায়গা পান খাজা। প্রথম দুই টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার পর অ্যাডিলেড টেস্টে আবার অধিনায়কত্বে ফেরেন প্যাট কামিন্স। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
স্মিথ সোমবার অসুস্থতার কারণে অনুশীলন মিস করেছিলেন। যদিও রোববার অ্যাডিলেডে অনুশীলনের পাশাপাশি সতীর্থদের সঙ্গে গলফও খেলেন। মঙ্গলবার আবার নেটে ফেরেন তিনি, তবে পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলেন না। মাঝেমধ্যে দীর্ঘ বিরতিও নিতে দেখা গেছে তাকে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র জানান, গত কয়েক দিন ধরেই স্মিথ বমি ভাব ও মাথা ঘোরার মতো উপসর্গে ভুগছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ম্যাচ খেলার খুব কাছাকাছি থাকলেও উপসর্গ পুরোপুরি না কাটায় তাকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে আশার কথা শুনিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সংস্থাটির মতে, স্মিথ ভেস্টিবুলার সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বিষয়টি আগেও সফলভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথম দুই টেস্টে ট্র্যাভিস হেড ও জেক ওয়েদারাল্ডের ওপেনিং জুটি সফল হওয়ায় খাজাকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছিল। অ্যাডিলেড টেস্টে হঠাৎ দলে ফিরলেও ওপেনিংয়ে নয়, চার নম্বরেই নামেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বাকি ব্যাটিং অর্ডারে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।