আপডেট :
২৯ জুলাই ২০২৫, ৮:২৮:১৫
গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকটকে ঘিরে ফের আলোচনায় এসেছে অনাহার ও খাদ্য সহায়তার বিষয়টি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘গাজায় কোনো অনাহার নেই’ মন্তব্যের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সোমবার স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “টেলিভিশনে গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের দেখেছি। সত্যিকারের অনাহার চলছে, এটা অস্বীকার করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই নেতানিয়াহু নিশ্চিত করুন যে, ওই শিশুরা খাবার পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র গাজায় খাদ্যকেন্দ্র স্থাপন করবে, যেখানে কোনো সীমান্ত বা বেড়া থাকবে না। আমরা তাতে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করব এবং অন্যান্য দেশও এতে অংশ নিচ্ছে।”
তবে এই কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করবে কে এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ট্রাম্প বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে এবং নিশ্চিত করবে, কেউ আটকে না পড়ে, বিশৃঙ্খলা না ঘটে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক প্রধান টম ফ্লেচার বিবিসিকে বলেন, “ইসরায়েলের পক্ষ থেকে মানবিক বিরতি ও বিমান থেকে খাদ্য ফেলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে, কিন্তু এটি সাগরে এক ফোঁটা।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “সামনের দিনগুলো নির্ধারণমূলক। দ্রুত বড় পরিসরে সহায়তা পাঠাতে হবে।”
ইসরায়েল জানায়, রবিবার ১০ ঘণ্টার সাময়িক বিরতিতে ১২০টি ট্রাক সহায়তা ঢুকেছে এবং জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিমান থেকে ২৮টি খাদ্য প্যাকেজ ফেলেছে।
তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, একই সময়ে অপুষ্টিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৪৭ জন অনাহারে মারা গেছে।
ইসরায়েল অনাহার বা খাদ্য সংকটের দায় অস্বীকার করে বলছে, ‘ইচ্ছাকৃত অনাহারে রাখার অভিযোগ মিথ্যা এবং এটি যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোকে গাজায় প্রবেশ করতে না দেওয়ায় বাস্তব পরিস্থিতির নিরপেক্ষ যাচাই সম্ভব হচ্ছে না।