নাটোর-১ আসন
প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১:৩৬:৫৯
নাটোর-১ আসনে ভাই-বোনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বহুদিনের। সম্প্রতি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা যেন নতুন করে আগুনে ঘি ঢেলেছে। এ আসনে বিএনপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা।
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের কন্যা ও নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল।
এদিকে মনোনয়নবঞ্চিত তারই বড় ভাই, জেলা বিএনপির সদস্য ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন। নাম ঘোষণার পর ভাই-বোনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মতভেদ যেন উত্তাপে রূপ নিয়েছে।
নাম ঘোষণার পরপরই পুতুলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ইয়াসির আরশাদ রাজনের এক সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে দলের প্রার্থী হিসেবে ফারজানা শারমিন পুতুলের নাম ঘোষণার প্রতিবাদে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে রাজনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে মহাসড়কের লালপুর উপজেলার গোধড়া এলাকায় তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা রাস্তার মাঝখানে তিনটি টায়ারে আগুন দিয়ে ইয়াসির আরশাদ রাজনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এছাড়া বিক্ষোভের ভিডিও নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতেও দেখা গেছে। পরে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যায়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ফারজানা শারমিন পুতুলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে উপজেলার গৌরীপুর বাজারে জিল্লুর রহমান নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। আহত জিল্লুর নিজেকে রাজনের সমর্থক হিসেবে দাবি করেন। তার দাবি, রাজনের সমর্থক হওয়ায় মনোনয়ন ঘোষণার পর পুতুলের সমর্থকেরা তার ওপর হামলা করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে আহত জিল্লুর রহমানের ভাই বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ফারজানা শারমিন পুতুলের একজন কর্মী ইয়াসির আরশাদ রাজনের একজন কর্মীকে মারধর করেছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে তারা একটি অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নাটোর-পাবনা মহাসড়কে কয়েকজন টায়ারে আগুন জ্বালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।