প্রকাশিত :
০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০০:০৯
শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিনকে মারধরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কৃষি প্রণোদনার ভাগ না পাওয়ায় তাকে মারধর করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম। মারধরে অংশ নেন ছাত্রদলকর্মী ফজলুও। গত বুধবার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সরকারি অফিসে কক্ষেই এ ঘটনা ঘটে।
এরইমধ্যে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোরসালিনকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে এ ঘটনায় ওই কৃষি কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবুল কাশেম। ওসি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
অসামিদের মধ্যে রয়েছেন—উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও তার সহযোগী ফজলু (৩২)।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাহাত ও ফজলু আমার অফিসে এসে জানতে চান আমি এখনো বদলি হইনি কেন, প্রণোদনা কারা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। পরে আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা কৃষকদের জন্য, কোনো রাজনৈতিক ভাগাভাগি হয় না। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালাগাল ও মারধর করেন।’
কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, এ বিষয়টি তিনি স্থানীয় বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানালে রাহাত এতে ক্ষিপ্ত হন, এবং এরপরই ফজলুকে নিয়ে অফিসের মধ্যে মারধর করেন। পরে তার চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান তারা।
এ ঘটনায় খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাহাত উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব। কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানালে আমি রাহাতের জেঠাত ভাই যুবদল নেতা লোটাসকে ঘটনাটি বলি। লোটাস রাহাতকে ফোনে শাসানোর পরও তিনি এমনটি ঘটিয়েছেন।’