প্রকাশিত :
১২ নভেম্বর ২০২৫, ৯:২৯:০৯
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ওয়্যারলেস বার্তায় সিএমপির সব থানা ও টহল টিমকে এই নির্দেশনা দেন তিনি। রাতে বিষয়টি তিনি নিজেও নিশ্চিত করেছেন।
কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবারও চট্টগ্রামকে অন্ধকারের যুগে ফিরিয়ে নিতে চাইছে। এটা আমরা হতে দেব না। প্রয়োজনে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে মেরে ফেলতে হবে, কিন্তু চট্টগ্রামকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া হবে না।’
বেতার বার্তায় কমিশনার আরও নির্দেশ দেন, টহল টিমগুলো এসএমজি (সাব মেশিনগান) ব্রাশফায়ার মুডে রাখবে, শটগান ও চায়না রাইফেল ব্যবহার করা হবে না। প্রতিটি টহলে গ্যাসগান, শিশা শটগান এবং টিম ইনচার্জের জন্য ৯ এমএম পিস্তল বহনের নির্দেশও দেওয়া হয়। এছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
তিনি পুলিশ সদস্যদের মনে করিয়ে দেন যে আত্মরক্ষার অধিকার দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় উল্লেখ আছে এবং কোনো সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সব দায়ভার কমিশনার নিজেই নেবেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি শহরে টানা গুলিবর্ষণ ও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সিএমপির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। একই ঘটনায় আহত হন এরশাদ উল্লাহ নিজেও। এর পরদিন একই এলাকায় আবারও গুলিতে একজন আহত হন। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট, আওয়ামী লীগের মিছিল চলাকালে অভিযানে যাওয়া বন্দর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরও কমিশনার আত্মরক্ষায় দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে সেই সময় বেতার বার্তা ফাঁস হওয়ার ঘটনায় অমি দাশ নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। কমিশনারের বার্তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।