প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৫:০৩:৫৬
বাড়ি থেকে বরিশাল কলেজের উদ্দেশে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি আগৈলঝাড়ার এক কলেজছাত্রী। তার পরিবার নিখোঁজের ঘটনাটিকে রহস্যজনক দাবি করে আগৈলঝাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের সাতদিন পেরিয়ে গেলেও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিডির তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার হোয়াটঅ্যাপে অপরিচিত নাম্বার থেকে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। সেখানে লিখা, ‘আমাকে খুইজেন না, আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আছি এবং ভালো আছি।’
তবে পুলিশকে পাঠানো ওই বার্তা নিখোঁজ কলেজছাত্রীর কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই কলেজছাত্রী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের বাসিন্দা। নিখোঁজের পর ওই কলেজছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় জিডি করেন।
তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ৯ নভেম্বর সকাল ৭টা ১০মিনিটে বরিশাল কলেজের যাওয়ার জন্য আগৈলঝাড়ার বাড়ি থেকে বের হন ওই কলেজছাত্রী। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন তার বোন। সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুঁজেও বোনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার ব্যাপারে কথা বলতে কলেজ ছাত্রীর ভাইয়ের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, থানায় জিডি করেছেন। পুলিশ নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
জিডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার এসআই মো.মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ ছাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক। যার কারণে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। জিডির পরেই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়। এরই মধ্যে আমার হোয়াটঅ্যাপ নাম্বারে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। সেই বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘আমাকে খুইজেন না, আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি এবং ভালো আছি।‘ তবে এরপর থেকেই নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই মেসেজটি নিখোজ কলেজছাত্রী পাঠিয়েছে কি না অন্য কেউ পাঠিয়েছে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো.অলিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কলেজছাত্রীর পরিবার থেকে নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। নিখোঁজের জিডি হলেও এর কোনো ক্লু দিতে পারছে না পরিবার। কলেজছাত্রীর পরিবার পুলিশকে তদন্তে কোনো সহযোগিতা করছে না। যে নাম্বার থেকে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল সেই নাম্বারটি বন্ধ থাকায় ট্র্যাকিং করাও সম্ভব হচ্ছে না।