প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৫:১৬:২৬
এক সময় গ্রামবাংলায় দেখা যেত বাড়ি বাড়ি এসে নাপিতরা মানুষের চুল ও গোফ কেটে দিয়ে যায়। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। নামিদামি সেলুন হওয়ায় আগেকার সেই দৃশ্য দেখা যায় না। কিন্তু আধুনিকতার এই যুগে ঝালকাঠিতে দেখা মিলল ভ্রাম্যমাণ এক সেলুনের।
নরসুন্দর রনজিৎ শিল দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই পেশায় আছেন। অর্থের অভাবে নির্দিষ্ট স্থানে দোকান নিতে না পারায় খোলা আকাশের নিচে একটি চেয়ার দিয়ে চুল কাটেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ সেলুন বসিয়ে চুল কাটছেন রনজিৎ শিল। তিনি ওই ইউনিয়নের তালগাছিয়া এলাকার মৃত বিরাজ শিলের ছেলে। তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে নাপিতের কাজ করে, আরেক ছেলে রিকশা চালান।
ভ্রাম্যমাণ সেলুন সম্পর্কে জানতে চাইলে রনজিৎ বলেন, টাকা না থাকায় দোকান দিতে পারিনি। তাই এভাবেই মানুষের চুল ও গোফ কাটার কাজ করছি। মানুষের চুল, দাড়ি কেটে যে যার ইচ্ছে মতো পয়সা-কড়ি দিয়ে যায়। সারাদিন কাজ শেষে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন হয়। এই টাকা দিয়ে কোনোরকম সংসার চলে। রাস্তার পাশে চুল কাটি এজন্য লোকজন তেমন আসেন না। তাছাড়া বৃষ্টি হলে আর চুল কাটতে পারি না।
ওই এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন সিকদার, কুদ্দুস খলিফা, জসিম উদ্দিন জানান, চুল কাটার দোকানে গিয়ে চুল কাটলে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা লাগে। কিন্তু তার কাছে ৩০ টাকাতে চুল কাটা যায়। রাস্তার পাশে একটি চেয়ার বসিয়ে তিনি মানুষের চুল দাড়ি কাটেন। আর এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তার সংসার। তার একটি সেলুনের ব্যবস্থা হলে খুবই উপকার হবে।