প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৩৯:২০
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবুল কালামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা ও নানা জল্পনা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কালাম স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কালামের সঙ্গে একই এলাকার ছাত্রদল কর্মী কাউছার হোসেনের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই দ্বন্দ্ব কি শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত পরিণতির দিকে ঠেলে দিল—এ নিয়েই এখন আলোচনা।
হত্যার প্রায় আধ ঘণ্টা পরই কাউছার তার ফেসবুকে ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আউট’। নিহতের পরিবার মনে করছে, এটি নিছক কাকতালীয় নয়; বরং হত্যার একটি ইঙ্গিত।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউছার। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না; বরং লতিফপুর বাজারে ছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত আবুল কালামও তার সঙ্গেই ছিলেন বলে দাবি করেন কাউছার। ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে তার ব্যাখ্যা হলো, এটা শুধু ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কাউছারের সম্পৃক্ততার আভাস পাওয়া গেছে। ঘটনাটির সময় পোস্ট করা তার ‘আউট’ ভিডিওটিও পুলিশের নজরে রয়েছে। পুলিশের ধারণা, চার থেকে পাঁচজন মিলে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই আবুল কালামের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।