প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৩৪:৪৮
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার তিনটি এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে দুইজন হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং অপরজন আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিহতরা হলেন—উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম (৪২), নলচিড়া ইউনিয়নের চর রমজানপুর গ্রামের মৃত সুধাংশ মন্ডলের স্ত্রী সবিতা মন্ডল (৫৫) ও নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আক্কাস হাওলাদারের স্ত্রী ইভা বেগম (২১)।
নিহত যুবলীগ নেতা আমিনুলের বোন জামাতা মিন্টু সরদার বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে হাত-মুখ ধোয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় আমিনুল। এরপর আর সে বাসায় ফেরেনি। আজ সকালে নিহতের বাড়ির সামনের পুকুর থেকে আমিনুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমিনুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত সবিতা মন্ডলের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে বাসায় একা ঘুমিয়ে ছিলেন সবিতা। রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকেও সে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং আসবাবপত্র এলোমেলো। পরবর্তীতে বিছানায় সবিতা মন্ডলের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
স্বজনদের ধারণা, পূর্ব থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। রাতে সুযোগ বুঝে ঘরের মালামাল লুট করার সময় সবিতা বাঁধা দিলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সবিতা মন্ডলের একমাত্র ছেলে সুকুমার মন্ডল গত ১০ দিন আগে গ্রিস থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। তিনদিন আগে স্ত্রীকে নিয়ে বোনের বাড়ি স্বরূপকাঠীর কুড়িয়ানায় বেড়াতে যান।
অপরদিকে নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আক্কাস হাওলাদারের চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইভা বেগম (২১) শনিবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে ফিরেই পরিবারের সবার অজান্তে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বামী আক্কাস। নিহত ইভা মুলাদী উপজেলার কাচির চর গ্রামের আনোয়ার আকনের মেয়ে। গত পাঁচ মাস পূর্বে আক্কাসের সাথে তার বিয়ে হয়েছিলো। রাতে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতাল থেকে ইভা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে।