শেখ হাসিনার রায়
প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৫৩:৩৭
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ২টা ২০ মিনিটে তারা টুঙ্গিপাড়া শেখ রাসেল শিশু পার্কের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। প্রায় ২০ মিনিট তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে রাস্তার ওপর আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। তবে বর্তমানে টুঙ্গিপাড়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ছাড়াও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে তারা মহাসড়কে কাঠ-পাটখড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায়ও ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পাটখড়ি দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া সদর উপজেলার ৭ মার্চ চত্বরের বিপরীত পাশে ফসলের মাঠে কয়েকজন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশ উপস্থিত হওয়ার খবর পেয়ে তারাও পালিয়ে যায়।
সকাল পৌনে ৮টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া বাজার এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু কর্মী মহাসড়কের পাশে থাকা গাছের গুঁড়ি রাস্তার ওপর ফেলে ১-২ মিনিটের মতো অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করে। এতে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গাছের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘কয়েকজন লোক রাস্তায় উঠে অবরোধের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা পালিয়ে যায়। তবে তারা অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে পারেনি।’
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে।