প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৪৪:০৭
ফেনীর মহিপাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আবারও চাঁদা আদায় শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের অনেকে। তাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত চাঁদা মাত্র ৫০ টাকা হলেও বর্তমানে গাড়িপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, হেলপার সংকটকে কেন্দ্র করে কিছু দালালচক্র বাসগুলোতে যাত্রী উঠানোর নামে টাকা আদায় করছে। আন্তঃজেলা মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, এসব দালাল মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে যাত্রী তুললেও পরে ড্রাইভার–হেলপারদের ওপর চাঁদাবাজির অভিযোগ চাপিয়ে পরিস্থিতি জটিল করছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকাগামী একাধিক পরিবহন মালিক জানান, একসময় র্যাবের কঠোর অভিযানে এসব চাঁদা সংগ্রহ বন্ধ হয়েছিল। প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর আবারও চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। তারা আরও বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকার ‘জিপি টাকা’ নেওয়া হলেও ফেনীর মহিপালে সবচেয়ে বেশি চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে।
বাসচালকের সহকারী রবিন জানান, ‘প্রতি গাড়ি থেকে ৪০০ টাকা করে তোলা হয়। সেগুলো স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পরিবহন নেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।‘
আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর কাদের জিলানী বলেন, ‘বিভিন্ন হকার ও ছিন্নমূল দালালচক্র বাসচালক ও সহকারীদের যোগসাজশে গাড়িতে যাত্রী তোলে। তারা যাত্রীপ্রতি ২০ টাকা নিলেও পরে বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ছড়ায়।’
ফেনীর পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন জানান, পৌরকর ও ইউনিয়ন নির্ধারিত টাকার বাইরে অতিরিক্ত আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। দালালচক্রকে দেখামাত্র পুলিশে সোপর্দ করার নির্দেশ ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে শৃঙ্খলাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। তবে মহিপালের চাঁদা আদায়ের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’