প্রকাশিত :
০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:১০:৫৫
শেরপুরে ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে শ্রেণিকক্ষে দরজায় তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষা বর্জন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাইরে তখন পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীবরদী উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা শুরু করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নূরন নবীসহ অনেকেই।
জানা গেছে, শেরপুর জেলার ৭৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বুধবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন এবং বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত রেখেছেন।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা, শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন কার্যকর করা, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বকেয়া পরিশোধ এবং আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের অগ্রিম বেতন সুবিধা পুনর্বহাল। শিক্ষকদের এমন কর্মবিরতি ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবক হালিম মিয়া বলেন, যখন-তখন করে শিক্ষকরা পরীক্ষা বন্ধ করবে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষকদের এ আন্দোলনে শিশুরা মানসিক চাপে পড়েছে। শিক্ষকরা মানুষ তৈরির কারিগর বলা হলেও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চলতেই পারে না এবং এটা উচিতও না।
আরেক অভিভাবক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি বলবো এটা আন্দোলন না, এটা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা। সরকারকে কঠোর হতে হবে। কিছু হলেই আন্দোলন তা ঠিক না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে প্রয়োজন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া। পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করা, এটা কেমন আন্দোলন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষকদের অবিলম্বে পরীক্ষায় ফিরতে বলেছে। একইসঙ্গে শাটডাউন বা কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে আন্দোলন করছে এই তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।