আপডেট :
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:০৮:৩৮
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির লিখিত আদেশে জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা খাদেমুল ইসলাম খুদিকে জেলা আহবায়ক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী নেতাদের মাইনাস করে আওয়ামীলীগের পূর্নবাসন এজেন্ডা হাতে নেওয়ায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ৭:৪০ মিনিটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়জিদ বোস্তামী জিমের নেতৃত্বে এনসিপির কার্যালয়ে তালা ঝোলানো হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক অতনু সাহা, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুলাহ জিসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সহ আরো অনেকে।
তারা বলেন, সম্প্রতি এনসিপি ঘোষিত গাইবান্ধা জেলার সংশোধিত আহ্বায়ক কমিটি পর্যালোচনা করে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, এই কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলীয় আদর্শ ও তৃণমূলের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র, সয়াবিন রাজনীতির প্রতিনিধিসহ একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিকে অযৌক্তিকভাবে পদ-পদবি দেওয়া হয়েছে, যা এনসিপির ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীদের সরাসরি অবমূল্যায়ন করে।
এছাড়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে, তদবির ও প্রভাব খাটিয়ে এই কমিটি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে।
ফলে পুরো কমিটি আওয়ামী লীগপন্থী, জোকারসুলভ এবং দলীয় আদর্শবিরোধী ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
অনিয়ম, আপসকামী রাজনীতি ও দলে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে কোন অবস্থাতেই আপস করতে পারি না। সুতরাং, এই অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও বিতর্কিত সংশোধিত কমিটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বা নৈতিক কোন সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয়।
তারা বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি'র গাইবান্ধা জেলা কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় নেতাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এটা জুলাই আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী যোদ্ধাদের সাথে বেইমানি করা হয়েছে। তাই আমরা এনসিপি'র কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রেখেছি