প্রকাশিত :
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩১:০৭
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই করা ৯৪ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ ও নগদ সাড়ে ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস, পুলিশের তিন সেট ইউনিফর্ম, হ্যান্ডকাফ ও ওয়াকিটকিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মেনহাজুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৭ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী বাসে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুই ভাইকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বাস থেকে নামায় কয়েকজন ডাকাত। ওই ডাকাতরা পুলিশের পোশাক পরে ছিল।
পরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুই ভাইকে নোহা মাইক্রোবাসে তুলে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৪৫ ভরি ৮ আনা ৪ রতি স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইলফোন, নগদ টাকা, দুটি এটিএম কার্ড ও একটি এনআইডি কার্ড লুট করে ডাকাতরা। এছাড়া গাজীপুরের কালীগঞ্জ এলাকায় ভুক্তভোগীদের হাত-পা বেঁধে ফেলে চলে যায় তারা।
ঘটনার পর ৮ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার কাফরুল এলাকা থেকে মাইক্রোবাসের চালক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ ও সাত লাখ টাকা।
পরে একই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) আকতারুজ্জামান মুন্সী গ্রেপ্তার হন। তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৩ ভরি ১ আনা স্বর্ণ, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি ও পুলিশের তিন সেট ইউনিফর্ম।
গ্রেপ্তারদের তথ্য অনুযায়ী, মিরপুরের শাহ আলী এলাকা থেকে রমজান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে ২০ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ, স্বর্ণ মাপার স্কেল, আইডি কার্ড ও পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রমজান আলী আরেক ব্যক্তিকে। তার কাছে পাওয়া যায় ১৩ ভরি ৭ আনা স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকা।
পুলিশ জানায়, ডাকাতদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যেই স্বর্ণের একটি অংশ মিরপুরের ইসলাম জুয়েলার্সে বিক্রি করেছিল। দোকানের মালিক ইসমাইল হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আকতারুজ্জামান মুন্সী ঢাকা এসবির এসআই, রমজান আলী মানিকগঞ্জের কৃষক লীগের নেতা এবং আরেক রমজান ঢাকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধি।
এসপি মো. মেনহাজুল আলম জানান, পলাতক আরও এক ডাকাতকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লুট হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধার অভিযানে পুলিশ কাজ করছে।