প্রকাশিত :
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:১৬:১৮
ব্যক্তিত্বের নৈতিক উন্নয়ন ও আত্মশুদ্ধির পথ অনুসরণে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে রংপুরে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের বিভাগীয় ইজতেমা। প্রায় ৮০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা ময়দান ইতোমধ্যেই মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত থেকেই ব্যাপক উপস্থিতিতে পুরো এলাকায় তিল ধারণের জায়গা নেই।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে মাওলানা আব্দুল কাদেরের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
আয়োজকরা জানায়, শুক্রবারের জুমার নামাজে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী ছাড়াও অতিরিক্ত মুসল্লির ঢল নামতে পারে। শনিবার দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিভাগীয় ইজতেমা।
ইজতেমা চলাকালে শীত ও বয়সজনিত কারণে ২ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি জানান ইজতেমা মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন ও পশুরাম থানার ওসি মাইদুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন— রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাঈদুর রহমান এবং টাঙ্গাইলের তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুরে এসে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছিলেন। ইজতেমা ময়দানেই জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আয়োজক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রংপুর বিভাগের আট জেলার সাথীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিল্লায় থাকা সাথীরা অংশ নিয়েছেন। ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রায় ২০০ বিদেশি মেহমানও যোগ দিয়েছেন এবারের ইজতেমায়।
ইজতেমা মাঠে আলোকায়নের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি শতাধিক জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অজু ও গোসলের জন্যও রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, প্রথম বিভাগীয় ইজতেমাকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে পুলিশ ও আয়োজক কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
নগরীর আমাশু কুকরুল এলাকায় অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় প্রথম দিনেই ২ মুসল্লির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এলেও সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে এবারের আয়োজন।