প্রকাশিত :
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩১:৫৭
বরগুনায় বিষখালী নদীর ভাঙ্গনে নতুনভাবে জেগে ওঠা রুহিতা চরের জমি নিয়ে বেতাগী ও বামনা উপজেলার মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। চরের জমি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে মামলা ও দ্বন্দ্বের কারণে বেতাগীর অংশের ভূমিহীনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বেতাগী উপজেলার শত শত মৎসজীবী, কৃষক ও ভূমিহীন পরিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চরের মালিকানা দাবি করে অবস্থান নেন। জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর সুরাহার আশ্বাস দিলেও প্রভাবশালীরা ভূমিহীন রিপনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন।
দুই পুরুষ পুর্বে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া চর ২০১১ সালে পুনরায় জেগে উঠলে বেতাগীর ক্ষতিগ্রস্তরা চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। কিন্তু অর্ধ শতাব্দী ধরে চরের মালিকানা ধরে রাখা বামনা উপজেলার প্রভাবশালীরা এতে বাধা দেন। তারা দাবি করেন, চরটি প্রথম বামনা উপজেলার অংশে জেগেছে তাই এর মালিকানা তাদের। অন্যদিকে বেতাগীর লোকজনের দাবি, জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সার্ভেয়ার করলে ভূমিহীনদের ন্যায্য মালিকানা বের হয়ে আসবে।
জমির দাবীতে আসা ভূমিহীনরা জানান, আমরা আমাদের জমি হারিয়েছি। ভিটে-মাটি সব নদীতে গেছে। এখন কবর দেওয়ারও জায়গা নেই। আমাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।
ভূমিহীনদের দাবী নিয়ে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানান, আমরা আমাদের দাবীর ন্যায্যতা তুলে ধরেছি। বামনা উপজেলার প্রভাবশালীরা আমাদের ওপর হামলা ও মামলা করে যাচ্ছে। এর থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।
ভূমিহীনদের নেতৃত্ব দেয়া বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জমাদ্দার বলেন, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে সমাধানের পথে আমরা যেতে পারবো। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব নিরসন করার জন্য দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।