প্রকাশিত :
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৩৪:২৮
দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো জেলা। বইছে হিমশীতল বাতাস, যা শীতের তীব্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ নিচের দিকে নামছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিরো ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গায় ক্রমেই শীত বাড়ায় বড় প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়। বিশেষ করে রিকশাচালক ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা ও সকালে শীত অনুভূত অনেক বেশি হচ্ছে।
শীত থেকে বাঁচতে অনেককে খড়, পুরোনো কাপড় জড়িয়ে কিংবা খোলা স্থানে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে।
জেলার আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯৭ শতাংশ। এদিন এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আগামীদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে। তবে সুর্যের দেখা মিলবে, রোদ থাকবে।