প্রকাশিত :
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬:১১
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় আর কনকনে ঠাণ্ডায় লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। জেলায় আজ বেলা ১০টা পেরিয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। চারদিক ঢেকে আছে ঘন কুয়াশায়। শীতের হিমেল বাতাসে কাঁপছে জনজীবন।
সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। পথচারীরা শীতের কাপড় জড়িয়ে দ্রুত পা বাড়াচ্ছেন নিজেদের গন্তব্যে। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার নৌঘাটগুলো থেকে সকালে ৩ ঘণ্টা দেরিতে নৌকা ছেড়েছে।
কনকনে ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল লোকজন। বিশেষ করে দিনমজুরদের জন্য সকাল শুরু হচ্ছে অনিশ্চয়তায়। কুয়াশা আর ঠাণ্ডার কারণে অনেকে দেরি করে কাজে যাওয়ায় কাজ মিলছে না। ফলে সকাল থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকছেন অনেকেই।
শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হন কালীগঞ্জের কাকিনার দিনমজুর সামাদ মিয়া। ঠাণ্ডায় দুই হাত গুঁজে রেখেছেন পকেটে। তিনি বলেন, 'পেট তো আর ঠাণ্ডা বোঝেনা বাহে! দুই দিন থাকি খুব ঠাণ্ডা। হাত-পাও ঠাণ্ডাতে শিষ্টা (অবশ) নাগছে (হয়েছে)। কাজত দেরি করি যাওয়া নাগে।'
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক দিন ধরে এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে। সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে উঠছে। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।
তুষভান্ডার বাজারের রিক্সাচালক নুর হোসেন বলেন, 'আমার ছোট ছেলেটা গতকাল থেকে সর্দিতে অসুস্থ। হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছি। এই ঠাণ্ডার মাঝেও গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি, শীতের কারনে যাত্রী কম।'
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, লালমনিরহাটে আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে উত্তরের জেলাগুলোতে শীত বাড়ছে। আজ বাতাসের জলীয় বাষ্পের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। শীতের এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন থাকতে পারে বলেও তিনি জানান।