৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: ভোটারদের অধিকার, স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ
প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮:৩৮
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। ৩৩ বছর পর এ নির্বাচন হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাচ্ছেন। নির্বাচনের গুরুত্ব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এটি শুধু নেতৃত্ব বাছাই নয়, বরং তাদের অধিকার, স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের প্রতিফলন।
নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোটের প্রচারণার শেষদিন পর্যন্ত প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে দিনরাত ছুটেছেন। ৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। তবে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনা ও অতিরিক্ত ব্যালট নিয়ে কিছু শঙ্কা রয়েছে। ২১টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। নির্বাচনে ৬৭ জন পোলিং অফিসার এবং ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কমিটির পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, আনসার ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের জন্য ২১টি হলে বুথ স্থাপন করা হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১,৯১৯ জন, যার ৪৮.৮ শতাংশ ছাত্রী। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন, হল সংসদে ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন প্রার্থী লড়ছেন।
নির্বাচনে ২২৪টি বুথ বসানো হয়েছে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বাকি কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন, তবে ৫৬ প্রার্থী নমুনা দিতে পারেননি।