প্রকাশিত :
২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৪:৫৯
আজ থেকে শুরু দেশের সব সরকারি স্কুল এবং মহানগর ও জেলা-উপজেলা-সদরের বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন। গত কয়েক বছরের মতো এবারও ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
এরপর ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ হবে দেশের সব সরকারি এবং মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্কুলে শূন্য আসনের আবেদনকারীদের। এ ক্ষেত্রে দুটি অপেক্ষমাণ তালিকাও করা হবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। যা চলবে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভর্তির নিয়মাবলি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে https://gsa.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
অনলাইনে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ভর্তির আবেদনের ফি ১০০ টাকা। টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। লটারির সম্ভাব্য তারিখ ১৪ ডিসেম্বর। এরপর ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি চলবে।
এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে দুটি অপেক্ষমান তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমান তালিকা থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে।
ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য আসন থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়াও থাকবে অল্প করে সহোদর বা যমজ কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, বিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা থাকবে নামমাত্র।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রতি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৫৫ জন। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৫ বছর আর সর্বোচ্চ ৭ বছর। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, এমন শিশুদের ক্ষেত্রে তা শিথিলযোগ্য। সেইসঙ্গে ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফি ও সেশন ফির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান বলেন, এই লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে ভালো স্কুলে একজন মধ্যম মানের বা নিম্ন মানের শিক্ষার্থীর পড়ার সুযোগ আছে। এই লক্ষ্যে গত বছরের ধারাবাহিকতা এবারও বজায় আছে।