গেল যুগের ছোঁয়া, নতুন গল্পের আবাহন সিনেমা ‘জ্যাজ সিটি’ নিয়ে ফিরছেন আরিফিন শুভ। ৭০-এর দশকের শহুরে ও জ্যাজ সংস্কৃতির মেলবন্ধন এবার পর্দায় দেখাবে এক নতুন রূপ।
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৫৪:০২
পরিচালক জানান, ছবির সেট ও পোশাক ডিজাইন বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন ৭০-এর দশকের গ্ল্যামার এবং শহুরে জীবনধারার যথার্থ প্রতিফলন ঘটে। শহরের ক্লাব, রেস্তোরাঁ, সড়কের আলো-সবই প্রাচীন ঢাকার এক নস্টালজিক অভিজ্ঞতা। আরিফিন শুভ বলেন, “আমি যখন শ্যুটিং করেছি, মনে হচ্ছিল যেন সময়ের মেশিনে চড়ে ৭০-এর দশকে পৌঁছে গেছি। জ্যাজের সুর আর শহরের রঙ যেন এক সঙ্গেই গল্প বলছে।”
সিনেমার মিউজিক পরিচালক জানিয়েছেন, প্রতিটি ট্র্যাক জ্যাজ ইনস্ট্রুমেন্টেশনে তৈরি, যাতে দর্শকরা শুধু ছবি নয়, সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অতীতের শহরের প্রাণ অনুভব করতে পারে। বিশ্ব চলচ্চিত্রে যেমন La La Land বা The Great Gatsby ছবিতে সেট ও সঙ্গীতের মেলবন্ধন দর্শককে মোহিত করেছে, ‘জ্যাজ সিটি’ তাও সেই ধারার অনুরূপ। সাংস্কৃতিক বিশ্লেষক ড. রাশেদা আখতার বলেন, “৭০-এর দশকের ধাঁচে তৈরি চলচ্চিত্র আজকের প্রজন্মকে অতীতের শহুরে সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাবে। এটি কেবল বিনোদন নয়, এক সময়ের ইতিহাসও তুলে ধরে।” বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের মধ্যে পুরনো দিনের ফ্যাশন, সঙ্গীত এবং লাইফস্টাইলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ‘জ্যাজ সিটি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
“জ্যাজের সুর আর শহরের আলো ‘জ্যাজ সিটি’ নিয়ে আসছে এক নিঃশব্দ গল্প, যা শুধু চোখ নয়, মনকেও ভাসিয়ে দেবে।”
শর্ট ক্লিপ, পোস্টার ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা ইতিমধ্যেই দর্শকের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছে। পরিচালক জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়ার পর এটি দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকরা শহুরে জীবনধারার পুরনো রূপ এবং জ্যাজ সঙ্গীতের সংমিশ্রণ দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন।
এই ছবির মাধ্যমে আরিফিন শুভ আবারও প্রমাণ করলেন, শুধু আধুনিক চরিত্র নয়, অতীতের রঙেও তিনি পারদর্শী। ৭০-এর দশকের ঢাকা, জ্যাজের ছন্দ, শহরের আলো সব মিলিয়ে ‘জ্যাজ সিটি’ হতে যাচ্ছে এক নস্টালজিক ও সঙ্গীতময় চলচ্চিত্র অভিজ্ঞতা।