যত্নের অভাবে যন্ত্রপাতির আয়ু কমে, খরচ বাড়ে বহুগুণ
প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০২৫, ১২:২১:৩২
১. নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল না বদলানো
ইঞ্জিন অয়েল বাইকের “রক্ত”। নির্দিষ্ট সময় বা কিলোমিটার পর ইঞ্জিন অয়েল না বদলালে ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ অংশে ঘর্ষণ বাড়ে, যা ইঞ্জিন হিট এবং পারফরম্যান্স ড্রপের কারণ হয়।
টিপস: প্রতি ১,০০০–২,০০০ কিলোমিটার পর মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন।
২. ব্রেক ফ্লুইডের দিকে নজর না দেওয়া
ব্রেক সিস্টেমের কার্যকারিতা অনেকাংশেই ব্রেক ফ্লুইডের উপর নির্ভর করে। অনেক চালকই এ ব্যাপারে উদাসীন থাকেন, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।
টিপস: বছরে অন্তত ১ বার ব্রেক ফ্লুইড চেক ও রিফিল করুন।
৩. সঠিক টায়ার প্রেসার বজায় না রাখা
টায়ারে অতিরিক্ত বা কম বাতাস হলে ব্যালান্স নষ্ট হয়, ব্রেকিং কমে এবং টায়ারের আয়ু কমে যায়।
টিপস: সপ্তাহে অন্তত একবার টায়ার প্রেসার চেক করুন, ম্যানুয়াল অনুযায়ী সঠিক PSI রাখুন।
৪. বাইক ধোয়ার সময় ইলেকট্রনিক অংশে পানি ঢোকা
বাইক পরিষ্কারের সময় অনেকেই সরাসরি পানির জেট ব্যবহার করেন, যা ব্যাটারি, ফিউজ বক্স, সেন্সর বা ইসিইউ-তে পানি ঢুকিয়ে ক্ষতি করতে পারে।
টিপস: পানির পরিবর্তে মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করুন, এবং স্পর্শকাতর অংশ ঢেকে পরিষ্কার করুন।
৫. ব্যাটারির যত্নে অবহেলা
অনেক চালক ব্যাটারির সংযোগ ঠিক রাখেন না বা পানি ভরেন না (যদি Conventional Battery হয়)। এর ফলে বাইক স্টার্টে সমস্যা হতে পারে।
টিপস: ব্যাটারির টার্মিনাল পরিষ্কার রাখুন ও রেগুলার ভোল্টেজ চেক করুন।
৬. অতিরিক্ত ওজন বহন
বাইকের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজন বহন ইঞ্জিন ও সাসপেনশন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
টিপস: বাইকের ম্যানুয়ালে দেওয়া ওজনসীমা অনুসরণ করুন।
৭. ক্লাচ চেপে রেখে দীর্ঘক্ষণ চলা
অনেক চালক যানজটে ক্লাচ চেপে রেখে বাইক চালান, এতে ক্লাচ প্লেট দ্রুত ক্ষয়ে যায় এবং গিয়ারবক্সে সমস্যা তৈরি হয়।
টিপস: জ্যামে বাইক বন্ধ রাখা এবং নিউট্রালে রাখাই ভালো।
৮. সময়মতো সার্ভিসিং না করা
নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে ছোট সমস্যা বড় হয়ে যায় এবং খরচ বাড়ে।
টিপস: প্রতি ২,০০০–৩,০০০ কিমি পর নির্ভরযোগ্য সার্ভিস সেন্টারে বাইক সার্ভিসিং করান।