বিশ্ববাজারে আউন্সপ্রতি সোনার দাম ৩,৬০০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় দেশে নতুন অলংকার কেনা ঝুঁকিপূর্ণ, তবে পুরোনো বিক্রিতে মিলছে বড় মুনাফা
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪:০৯
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় ভরি প্রতি সোনার দাম ছিল মাত্র ১৭০ টাকা। দীর্ঘ ৫৪ বছরে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সোনার বাজার ক্রমেই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে আউন্সপ্রতি সোনার দাম ৩,৬০০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।
২০২০ সালের করোনা মহামারির সময় আউন্সপ্রতি দাম প্রথমবার ২ হাজার ডলার ছাড়ায়। সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, বছরের শেষ নাগাদ আউন্সপ্রতি দাম ৩,৮০০ ডলার এবং আগামী জুন নাগাদ ৪ হাজার ডলার অতিক্রম করতে পারে।
দেশে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে পুরোনো সোনার অলংকার বিক্রি করলে উল্লেখযোগ্য মুনাফা পাওয়া সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১০ বছর আগে ৪৩ হাজার টাকায় কেনা এক ভরি ২২ ক্যারেটের অলংকার এখন বিক্রি করলে মিলবে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। তবে নতুন অলংকার কিনতে হলে ভ্যাট ও মজুরিসহ প্রায় ২ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জুয়েলার্স সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, “সোনার দাম অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ নতুন অলংকার কিনতে আসছেন না। তবে পুরোনো সোনার অলংকার বিক্রি করলে ভালো মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।”
ব্যবসায়ীরা পরামর্শ দিয়েছেন, পুরোনো অলংকার বিক্রি করতে হলে অবশ্যই যে দোকান থেকে কেনা হয়েছিল সেখানেই বিক্রি করা উচিত। অন্যত্র বিক্রি করলে ওজন থেকে বেশি অংশ বাদ দিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়, ফলে মুনাফা কমে যায়।
বর্তমানে দেশে ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেটের অলংকারই বেশি তৈরি হয়। হলমার্ক বাধ্যতামূলক করার ফলে সোনার বিশুদ্ধতা নিয়ে গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে, যদিও ছোট-মাঝারি অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও নিয়ম মেনে চলে না।