প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৫, ৬:৪৭:১৩
সতর্কতা ও দ্রুত চিকিৎসার মিলনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর এক নতুন দিগন্ত
ঢাকায় আধুনিক হার্ট কেয়ার ইউনিট যেভাবে রক্ষা করছে হাজারো প্রাণ।
“সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসাই জীবন বাঁচাতে পারে, আর আমাদের সেন্টার তা নিশ্চিত করছে প্রতিনিয়ত,” ডাঃ রিয়া করিম, কার্ডিওলজি স্পেশালিস্ট
বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে হার্টের রোগ এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। কিন্তু ধীরে ধীরে, আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি এই সংকট মোকাবেলা করছে। রাজধানীর নতুন হার্ট কেয়ার সেন্টার এ এখন ‘মিনিটেই’ লাইফসেভিং ট্রিটমেন্ট সম্ভব, যেখানে রোগীর জীবন-মৃত্যুর লড়াই হয় অত্যন্ত দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে।
আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যভিত্তিক চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের মতো জরুরি অবস্থায় প্রথম কিছু মিনিট রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নির্ধারণ করে। এই সেন্টারে বিশেষায়িত ডায়াগনস্টিক যন্ত্রপাতি ও রোবোটিক সহায়ক প্রযুক্তি দিয়ে রোগীর অবস্থা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
ডাটা অনুযায়ী, সেন্টারের মাধ্যমে এখন ৯৫% রোগী সময়মত সঠিক চিকিৎসা পেয়ে বাঁচছেন, যা গত পাঁচ বছরে দেশের হৃদরোগ চিকিৎসায় বিপ্লব নিয়ে এসেছে।
লোকাল গল্প: জীবন ফিরে পাওয়া
[রহিম উদ্দিন] নামে এক মাঝবয়সী ব্যবসায়ী, যিনি সাম্প্রতিক হার্ট অ্যাটাকের শিকার, তার কথায়
“সেন্টারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যদি একটু দেরি হত, আজ আমার কথা হয়তো এখানে থাকত না।”
সামাজিক প্রভাব ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
হার্ট কেয়ার সেন্টারের সাফল্য শুধু ঢাকার নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিস্তার হওয়া দরকার। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কি ভাবে এই আধুনিক সেবা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেবে সরকার এবং কি হবে খরচের ব্যাপারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসচেতনতা ও সরকারি সহযোগিতা ছাড়া এই ধরনের প্রযুক্তি সর্বত্র ছড়ানো সম্ভব নয়।
আজকের দ্রুত ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে হার্ট রোগীদের জীবনের পুনর্গঠন আর অসম্ভব নয়। যেখানে মিনিটের ব্যবধানে প্রাণ বাঁচানো যায়, সেখানে সময়ের গুরুত্ব অতি স্পষ্ট।
এখন সময় এসেছে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে এই অত্যাধুনিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার। প্রযুক্তি, চিকিৎসক এবং সরকারি পরিকল্পনার একত্রীকরণ ছাড়া হার্ট কেয়ার সেক্টরে এই বিপ্লব ধরে রাখা অসম্ভব।
এই সেন্টার শুধুমাত্র রোগীদের নয়, পরিবারেরও জীবন বাঁচাচ্ছে এটাই আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।