শিশু থেকে প্রবীণ-সব বয়সের জন্যই হরলিক্স হয়ে উঠতে পারে স্বাস্থ্য ও শক্তির ভরসা। নিয়মিত অভ্যাসে এটি শরীর গঠনে রাখে ইতিবাচক ভূমিকা।
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:২০:২৮
হরলিক্সের ইতিহাস ও বৈশ্বিক স্বীকৃতি
১৮৭৩ সালে ব্রিটেনে উদ্ভাবিত হওয়ার পর থেকে হরলিক্স পৃথিবীর বহু দেশে জনপ্রিয়। ইউরোপ থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ সবখানেই এটি মিল্ক-ড্রিঙ্ক ক্যাটাগরিতে প্রথম সারির নাম। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে এর পুষ্টিগুণের প্রশংসা করে আসছেন।
কী আছে হরলিক্সে?
হরলিক্সে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার। এগুলো হাড়কে করে শক্তিশালী, রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে বেড়ে ওঠা শিশু ও কাজের চাপে ক্লান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটি কার্যকর। বিশেষজ্ঞ মত , ঢাকার একজন নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ বলেন, “দৈনন্দিন খাবারে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-মিনারেল সবসময় পাওয়া যায় না। কিন্তু নিয়মিত হরলিক্স খেলে সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়।”
বিভিন্ন বয়সে হরলিক্সের উপকার
বিশ্ব তারকাদের স্বাস্থ্যচর্চায় অনুপ্রেরণা
যেমন আমেরিকার ফিটনেস গুরু জেনিফার লোপেজ কিংবা ভারতের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজেদের ডায়েটের পাশাপাশি তারা সর্বদা স্বাস্থ্যকর পানীয়কে প্রাধান্য দেন। যদিও সরাসরি হরলিক্সের নাম উল্লেখ করেননি, তবে ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ ড্রিঙ্কস যে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ, তা তাঁরা খোলামেলাভাবে বলেছেন।
বাংলাদেশের বাস্তবতায়
আমাদের দেশে অনেক সময় নিয়মিত খাবারে প্রোটিন ও ভিটামিনের ঘাটতি থাকে। বিশেষত শিশুদের খাবারে পুষ্টির সুষমতা রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সেই জায়গায় হরলিক্স হতে পারে একটি সাশ্রয়ী ও সহজ সমাধান।
“শুধু এক কাপ হরলিক্সই হতে পারে সারাদিনের শক্তি আর সুস্থতার গোপন রহস্য।”
শেষকথা
নিয়মিত হরলিক্স খাওয়া মানে শুধু একটি পানীয় পান নয়, বরং শরীরের জন্য ভেতর থেকে সঠিক বিনিয়োগ। ব্যস্ত জীবনে পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এটি হতে পারে এক বিশ্বস্ত সহযাত্রী।