মিষ্টি পানীয় শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, স্বাস্থ্যেও ফেলে গভীর ছাপ
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২১:৫৯
আজকাল তরুণ-প্রৌঢ় সবাই তৃষ্ণা মেটাতে কিংবা রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে মিষ্টি পানীয় খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন, এই ড্রিঙ্কস শুধু স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যও নষ্ট করে। অধিকাংশ কোল্ড ড্রিঙ্কে থাকে প্রচুর পরিমাণ চিনি, কৃত্রিম ফ্লেভার এবং কার্বনেশনের কারণে গ্যাস। এগুলো শরীরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর। অধিক ড্রিঙ্কস নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যায়। চিনি রক্তে দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়ায়, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করে। হার্ট ও কিডনিতেও চাপ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময়ের ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষয়, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া এবং হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশু ও কিশোরদের মধ্যে মিষ্টি ড্রিঙ্কস বেশি খাওয়ার ফলে স্কুল পারফরম্যান্সও প্রভাবিত হয়। ক্যালসিয়াম কমে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, এছাড়া অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
“প্রতিদিন এক-দুইবারের বেশি কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া মানে শরীরকে ধীরে ধীরে ক্ষতি করা।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সুপারিশ করেছে, ১ দিনের চিনি গ্রহণ ১০% কমানো স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রেক্ষিতে সোডা ও মিষ্টি পানীয় খাওয়া সীমিত রাখা দরকার। পরিবর্তে জল, লেবু জল, নারকেল পানি বা হালকা ফলের জুস পান করলে শরীর সতেজ থাকে এবং স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। অতএব, স্বল্প খাওয়া ভালো, নিয়মিত খাওয়া নয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়াতে মিষ্টি পানীয়ের বদলে প্রাকৃতিক পানীয় বেছে নেওয়া জরুরি। ড্রিঙ্কসের চমকপ্রদ স্বাদ tempting হলেও, শরীরের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বড় প্রাধান্য পেতে হবে।